বিশেষ সংবাদদাতা ( বীরভূম ) : বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের দালাল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাঙালি-বিরোধী ষড়যন্ত্র, বাঙালি ছাত্র-অধ্যাপক সাসপেন্ড ও বহিস্কার, সর্বক্ষেত্রে হিন্দি রাজ্যের কর্মী ও অধ্যাপক নিয়োগ, বিশ্বভারতীর কর্মী-অধ্যাপক পদগুলো বাঙালি-শূন্য করা, বিশ্ববিখ্যাত পৌষমেলা বন্ধ করে দিয়ে ভূমিপুত্রদের জীবিকাহীন করা এবং ক্রমাগত রবীন্দ্রচেতনা বিরোধী তথা বাঙালি বিরোধী কাজের প্রতিবাদে বোলপুরে একটি মিছিল ও পথসভা সংগঠিত করে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ।
বীরভূম সহ পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মালদা, মুর্শিদাবাদ থেকে সহযোদ্ধারা এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, ছিলেন শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অমিত সেন, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, সম্রাট কর, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দোপাধ্যায়, মুর্শিদাবাদ বাংলা পক্ষর কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, মালদা বাংলা পক্ষর মহম্মদ রফিক আহমেদ, পূর্ব বর্ধমান বাংলা পক্ষ জেলা সম্পাদক জুয়েল মল্লিক এবং বীরভূম জেলা থেকে মাশুকুল ইসলাম শিবলি, উদয় মন্ডল, আজহার বাবু, রামকৃষ্ঞ সাহা, আবদুল তাজিম মন্ডল, কমলেশ তালুকদার সহ বীর নেতৃত্ব ও শতাধিক সহমোদ্ধা। বাংল পক্ষর মিছিল থেকে আওয়াজ ওঠে রবীন্দ্র সংস্কৃতির ধ্বংসকারী, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য বিরোধী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ চাই। অবিলম্বে বহিষ্কৃত ছাত্রছাত্রীদের বহিষ্কার প্রত্যাহার করা ও অধ্যাপকদের উপর সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি করে সংগঠনের নেতৃত্ব। গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, "বাঙালি ও বিশ্বভারতীর মাঝে কোন দিল্লীর দালালকে বরদাস্ত করা হবেনা। আমাদের ঘরের মেধাবী প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীদের বহিস্কার করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আগুন নিয়ে খেলছে। বিশ্বভারতী দিল্লীতে না, বিহারে না, গুজরাটে না, রাজস্থানে না, বিশ্বভারতী বাংলায়। বিশ্বভারতী বাঙালির। দিল্লীর হাত থেকে মুক্ত করে বাংলা ও বাঙালির কাছে হস্তান্তর করার লড়াইয়ের নাম বাংলা পক্ষ। বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মচারী ও আশ্রমিকদের পাশে আছে বাংলা পক্ষ। অবিলম্বে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে। দিল্লীর দালাল উপাচার্য ও তার টিমকে কিন্তু বাংলার ৯ কোটি বাঙালি ঘিরে আছে।"